আলোকিত কন্ঠ ডেস্কঃ
পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাসসকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সরকার গতকাল যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেখানে শপিং মল বা দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি। বাণিজ্য মেলায় শপিং মলের মতই পণ্য কেনাবেচা ও প্রদর্শনী হচ্ছে। তাই আপাতত আমরা মেলা বন্ধ করছি না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটা চলবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বাণিজ্য মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী যাচ্ছে বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে গতবছর দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার প্রথমবারের মত রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত স্থায়ী ঠিকানায় মেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসজনিত রোগের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকার গতকাল ১১টি বিধি-নিষেধ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ছোট-বড় মিলে ২২৫টি স্টলে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এবার প্রাণ-আরএফএল, যমুনা, আবুল খায়ের, এ্যাপেক্সসহ বড় বড় দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, চীনসহ ৮ দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে।প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছে।
আপনার মতামত দিন: