স্টাফ রিপোট:
সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কয়লার চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিব)।
মঙ্গলবার জব্দমুলে ওই কয়লার চালান সুনামগঞ্জ কাষ্টমসে হস্তান্তর করা হয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধায় সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের মিডিয়া সেল জানায়, ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের বালিয়াঘাট বিওপির বিজিবি টহল দল সীমান্ত গ্রাম লালঘাটের দৌড়ের ঘাট ( হুন্ডি কালামের ঘাট) থেকে বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা বস্তা ভর্তি ২০০০ কেজি কয়লা জব্দ করে রবিবার।এরপর বিজিবির টহল দল মালিক বিহিন অবস্থায় ওই কয়লা জব্দ দেখিয়ে ব্যাটালিয়নের প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
অভিযোগ রয়েছে উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট বিওপির সীমান্ত গ্রাম লালঘাটের মৃত ভানু হোসেনের ছেলে চিহ্নিত একাধিক মাদক চোরাচালানী, হুন্ডি ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ আবুল কালাম ওরফে হুন্ডি কালাম চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ৬৯ বোতল বিদেশি মদ আটকের ঘটনায় বিজিবি কতৃক দায়েরি মামলায় পলাতক আসামি হলেও কালামই লালঘাটের তিনটি চোরাই কয়লার ঘাট দিয়ে প্রায়শই চোরাই কয়লার চালান ওপার থেকে এপারে নিয়ে এসে নিব্রিগ্নি চোরাচালান বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কালে ভদ্রে কয়লার কয়েক বস্তা আটকের টন নয় কেজির হিসাবে মালিকি বিহিন জব্দ তালিকা দেখিয়ে হুন্ডি কালামকে রাখা হচ্ছে মামলা বাহিরে।
থানা পুলিশের অভিযানে কালাম পলাতক থাকলেও রহস্যজনক কারনে সে তার লালঘাটের বাড়িতে বহাল তবিয়্যতে থেকে ভারতীয় মদ, গাঁজা, কাঠ, কয়লা, চুনপাথর, পাথর ,গাছের ছাল, বাঁশের ছিপ, মোরগ, মাছ , ডিম, সবজি, মোবাইল ফোন সেট , সিম, হুন্ডি সহ নানা চোরাচালান বাণিজ্যের পাশাপাশি সীমান্তের এপার ওপার শ্রমিক যাতায়াতের বিপরীতে চাঁদাবাজিও করে আসছে নিয়মিত।
মঙ্গলবার সন্ধায় সীমান্তের নানা শ্রেণিপেশার লোকজন জানিয়েছে, হুন্ডি কালাম কথিত কয়েকজন সাংবাদিক, পুলিশ, বিজিবির মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কিছু অসৎ সদস্যকে ম্যানেজ করে গত এক যুগের বেশি সময় সময়ে সীমান্তে চোরাচালান ও অপতৎরতা চালিয়ে গেলেও কালে ভদ্রে তার নামে মামলা হওয়ার পর সে জামিনে বেড়িয়ে এসে কিংবা পলাতক থেকেও তার চোরাচালান বাণিজ্য অবাধেই চালিয়ে যেতে পারছেন।চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পনী সদরের বিজিবি টহল দল হুন্ডি কালাম সহ তার অপর দুই সহযোগির বিরুদ্ধে ৬৯ বোতাল বিদেশি মদ আটকের ঘটনায় তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাগজে কলমে পলাতক থেকেও দৃশ্যত সে এলাকাতেই অবস্থান করছে এমনকি থানা পুলিশের নিকটই অধরা থাকলেও চোরাই কয়লার ঘাট সহ পুরো সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্যে চালকের আসনেই রয়ে সেই হুন্ডি কালাম ও তার সহযোগিরা।
মঙ্গলবার সন্ধায় তাহিরপুর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম তালুকদারের নিকট বিজিবির মামলার তদন্ত ও গত দুই মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও মামলায় হুন্ডি কালাম সহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক দফা আসামিদের বাড়ি বাড়ি গেলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত দিন: